হবিগঞ্জ, ১২ আগস্ট : সিলেটের ভোলাগঞ্জ এক সময়ের অপরূপ সৌন্দর্যের প্রতীক, আজ যেন লুটপাটের মঞ্চে পরিণত হয়েছে। যার যেভাবে ইচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদ পাথর লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। যেন দেখার কেউ নেই। রাজনীতির অধিকাংশ খেলোয়াড়ের হাতেই এখন এখানকার ভাগ্য নির্ধারণ। জনগণের উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা কিংবা পর্যটন সম্ভাবনা সবই থেকে গেছে কাগজে-কলমে; বাস্তবে চলছে সীমাহীন লুণ্ঠন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোলাগঞ্জের সম্পদ ও সৌন্দর্য রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসা অনেকেই নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিতেই ব্যস্ত। “রাজনীতিতে অধিকাংশ লোকই লুটেরা”—এই ক্ষোভই এখন মুখে মুখে ফিরছে। সিলেটবাসী মনে করেন, তারা যাদের ওপর ভরসা করেছিলেন, তাদের কাছ থেকে এমন পরিস্থিতি একেবারেই প্রত্যাশিত ছিল না।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশ আন্দোলনের স্থানীয় এক কর্মী বলেন, “আমরা যারা পরিবেশ রক্ষার জন্য মাঠে-ঘাটে লড়ি, আজ স্পষ্ট বুঝে গেছি—আমাদের মূল্যের জায়গা কোথাও নেই। রাজনীতির বড় খেলোয়াড়দের কাছে পরিবেশের গুরুত্ব নেই, আছে শুধু লুটপাটের হিসাব।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভোলাগঞ্জের মতো প্রাকৃতিক সম্পদ ও পর্যটন স্পট ধ্বংস হতে থাকলে সিলেটের অর্থনীতি, পরিবেশ ও সংস্কৃতি সবই মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে। কিন্তু রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া এই ধ্বংসযজ্ঞ রোধ করা সম্ভব নয়।
জনগণের দাবি, রাজনীতি থেকে লুটেরাদের সরিয়ে প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও পরিবেশবান্ধব নেতৃত্বকে সামনে আনা হোক। নইলে ভোলাগঞ্জ শুধু একটি হারানো সৌন্দর্যের নাম হয়ে যাবে ইতিহাসে।
লেখক; কবি, প্রকাশক ও গণমাধ্যমকর্মী
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan

মনসুর আহমেদ :